কখন কোন মানুষের জীবনে কোন দুর্ঘটনা ঘটে সেটা আগে থেকে বলা অসম্ভব। তবে এটা প্রতিটি মানুষের ই মাথায় রাখা উচিত যে বিপদ যখন তখন ঘটতে পারে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই আমদের প্রত্যেকের ই উচিত জীবিত থাকাকালীন কোনো বীমা বা পলিসির মাধ্যমে কিছু টাকা জমিয়ে রাখা যাতে আমরা যখন আর এই পৃথিবীতে থাকবো না অর্থাৎ আমাদের অবর্তমানে আমাদের পরিবারের যাতে খাওয়া পড়া বা লেখাপড়া এসবের যাতে কোন রকম কোন অসুবিধা না হয়। তবে সাধারণত এই সব বীমা ও পলিসি গুলোতে প্রতি মাসে মাসে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে ক্রমশ বেড়েই চলেছে তাতে করে মানুষ নিজেদের পরিবারের সদস্যদের পেট চালাবে সন্তানদের লেখাপড়া শেখাবে নাকি বীমার টাকা জমা দেবে। আর এই সমস্ত অসুবিধার জন্য ই বহু মানুষ এই বীমা ও পলিসি গুলো করেও একটানা চালাতে পারে না আবার কেউ কেউ অভাবের জন্য বীমা বা পলিসির দিকে এগোতেই পারেন না। আর এইসব গরিব মানুষের কথা চিন্তা করেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ সাথী নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন। যাতে সমাজের গরিব মানুষ যারা এইসব বীমা বা পলিসির দিকে এগোতে পারেন না তাদের অবর্তমানে তাদের পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। এখন এই প্রকল্পের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এই প্রকল্পে প্রাপ্য টাকার পরিমাণ:-
এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় থাকা মানুষজনেরা যদি কোন রকম কোন দুর্ঘটনায় আহত হন তাহলে ৬০,০০০ টাকা করে এবং সেই দুর্ঘটনায় যদি তাদের মৃত্যু হয় তাহলে তাদের মৃত্যুর পর তাদের পরিবারের লোকজন ২ লক্ষ টাকা করে বীমা পাবেন।
সমাজ সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার নিয়মাবলী:- এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার যে যে যোগ্যতা থাকা দরকার এবং যেভাবে আবেদন করতে হবে সেগুলি হল-
১) এখানে আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে।
৩) আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮-৬০ এর মধ্যে হতে হবে।
৪) এই প্রকল্পের উপভোক্তার সরকার প্রদত্ত একটি স্মার্ট কার্ড অবশ্যই থাকতে হবে।
৫) এই প্রকল্পের উপভোক্তাকে অবশ্যই শারীরিক ভাবে সুস্থ অবস্থায় দুর্ঘটনায় আহত হতে হবে অথবা মারা যেতে হবে।
৬) কোনো রকম ভাবে আত্মহত্যা করার কারণে, নেশাগ্ৰস্থ অবস্থায় অথবা স্পীডে সাইকেল বা মোটরসাইকেল চালিয়ে সব গাড়িকে ওভারটেক করার জন্য অ্যাক্সিডেন্ট হলে কোন রকম টাকা পাওয়া যাবে না।
৭) স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেসব খরচ হবে তার সব ওই স্মার্ট কার্ড থেকে কাটা হবে।
৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন বাড়ির লোককে ১ মাস ছাড়া ছাড়া প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
৯) সুস্থ অবস্থায় দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে তার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা দেওয়া হবে।
১০) দুর্ঘটনায় মৃত ব্যাক্তির শ্রাদ্ধ শান্তির কাজের জন্য ২৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
আবেদন পদ্ধতি:-
১)এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনি যে পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সেখানে গিয়ে অথবা আপনার নিকটস্থ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প এ গিয়েএকটি ফর্ম তুলতে হবে।
২) তারপর সেই ফর্ম টিতে আপনার নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে ফর্মটিকে ফিলাপ করতে হবে।
৩) তারপর সেটিকে পঞ্চায়েত অফিসে অথবা ব্লক অফিসে অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প এ গিয়ে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
আবেদন পত্রের সাথে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
১) দেশের বা রাজ্যের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ড/ভোটার কার্ডের জেরক্স।
২) স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট।
৩) স্মার্ট কার্ডের জেরক্স।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স।
বেকার চাকরী প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন চাকরির সুখবর। কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ একটি বিখ্যাত সংস্থার… Read More
সকল অষ্টম শ্রেণী ও মাধ্যমিক পাস বেকার চাকরী প্রার্থীদের জন্য বিশাল বড় নিয়োগের সুখবর। যে… Read More
পশ্চিমবঙ্গের বেকার চাকরী প্রার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন নিয়োগের ঘোষণা। RRB কলকাতার পক্ষ থেকে বিভিন্ন… Read More
সবেমাত্র দুর্গাপূজো শেষ হল। সামনেই আসছে আলোর উৎসব দীপাবলী। এই উৎসবের মরশুমে উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ… Read More
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ ভারতবর্ষ। সৃষ্টির আদিকাল কাল থেকেই ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান… Read More
রেল পরিষেবা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরই হাজার হাজার শূন্যপদে কর্মী… Read More