উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা, আপনি পেয়েছেন তো? lakhir bhandar Prakalpa Big Update

উধাও হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা, আপনি পেয়েছেন তো?

বাংলার মা বোনেদের জন্য বিশাল বড় দুঃসংবাদ। চরম বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছেন তারা। আমাদের রাজ্যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিরাট বড় চক্রান্ত। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধাভোগী মা বোনেদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা। ইতিমধ্যেই আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু মহিলা এই চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। আপনার সঙ্গেও কি ঘটেছে এমন ঘটনা? যদি এখনও না ঘটে থাকে তাহলে আজই সতর্ক হয়ে যান। আপনার নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে যেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখানে গিয়ে নিয়মিত নিজের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করুন ও সুরক্ষিত থাকুন।

গত কিছুদিন যাবত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে চরম প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অন্তর্গত মহিলারা সাইবার ক্রাইমের কবলে পড়ছেন। সাইবার ক্রিমিনালরা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটার কারনে আমাদের রাজ্যের বহু মহিলা বর্তমানে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা আমাদের চ্যানেলের তরফ থেকে প্রকাশিত আজকের এই প্রতিবেদনে এই সাইবার ক্রাইম কিভাবে ঘটছে তার বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ক্রাইম দূর করতে কি স্টেপ নিচ্ছে সেই বিষয়েও আপনাদেরকে জানাবো। জানতে আগ্রহী হলে প্রতিবেদনের শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

শুধু যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে এমন ঘটনা ঘটছে তা নয়। আমাদের রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প যেমন তরুনের স্বপ্ন, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু, বিধবা ভাতা নিয়েও এমন সাইবার ক্রাইম ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এইসব প্রকল্প গুলির দরুন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঠিক সময় মতো টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হলেও সেই টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবধি গিয়ে পৌঁছনোর আগেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। সাইবার ক্রিমিনালরা সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে সব টাকা সরিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে এইসব প্রকল্প গুলির আওতায় থাকা প্রতিটি মানুষ এই প্রকল্প গুলির সুবিধা লাভ করতে পারছেন না।

এই টাকা গুলি কারা সরাচ্ছে?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে জানা গিয়েছে আমাদের রাজ্যের কয়েকটি প্রতিবেশি রাজ্য যেমন বিহার, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানের সাইবার ক্রাইমের একটি দল এই কাজটি করছে। এরা মডার্ন টেকনোলজির মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রকল্প গুলির উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার মুছে দিয়ে সেখানে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার বসিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে এইসব প্রকল্প গুলির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার বদলে সাইবার ক্রিমিনালদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত এমন ২২০ টি ফ্রড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে রাজ্য প্রশাসন। যার মধ্যে ৮৪ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে আপাতত ফ্রিজ করেছে রাজ্য সরকার।

প্রতিবেশি রাজ্য গুলি ছাড়াও আমাদের রাজ্যের কোন কোন জায়গার নাম উঠেছে?
শুধু যে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশি রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানের সাইবার ক্রিমিনালরা এই হ্যাকিং এর ঘটনাটি ঘটাচ্ছে এমনটা নয়। আমাদের রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলার একটা বড় দলও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এই ক্রিমিনাল দলটিকে খুঁজে বের করার জন্য রাজ্য প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন।

এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কি ধরনের স্টেপ নিচ্ছে?
এইরূপ অন্যায় ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ও রাজ্যের সাধারণ মানুষকে তাদের প্রাপ্য পাওনা পাইয়ে দিতে একাধিক স্টেপ নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজ মুখে একথা ঘোষণা করেছেন যে, অপরাধীদের খুঁজে বের করে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দেবে সরকার। সেইসঙ্গে যে সকল শিক্ষার্থীরা তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পাননি তাদের প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুনরায় এই প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও যে সকল মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি তাদের অ্যাকাউন্টে আবারো নতুন করে এই প্রকল্পের টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।

আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE 

নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।

Join Telegram Channel : CLICK HERE

Leave a comment