আবারো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত ধরনের সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর আসতে চলেছে আসন্ন সপ্তাহ। কেন্দ্রে যেমন অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হবে রাজ্যের তেমনি সপ্তম পে কমিশন গঠনের তরজোড় শুরু হয়ে গিয়েছে এর ফলে রাজ্যের সমস্ত ধরনের সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের প্রচুর পরিমাণে বেতন বৃদ্ধি পাবে। সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে সপ্তম পে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের ঘোষণা আসতে পারে। এই নিয়োগই নির্ধারণ করবে রাজ্যের কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের সমতুল্য বেতন কাঠামো পাবেন কিনা।
বর্তমানে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় রয়েছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা সপ্তম পে কমিশনের সুবিধা ভোগ করছেন। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বেতনের ব্যাপক ফারাক রয়েছে। এই ব্যবধানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের সমস্ত ধরনের সরকারি কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
আগামী সপ্তাহে সপ্তম পে কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ হতে পারে। কারণ কেন্দ্রে অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হচ্ছে আর রাজ্যে যদি সপ্তম পে কমিশন থাকে তাহলে বেতনের বিস্তর ফারাক দেখা দিবে। তাই রাজ্য সরাসরি সপ্তম অথবা একবারে অষ্টম পে কমিশন বাস্তবায়নের পথে এগোতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে এই সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম পে কমিশন।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার জানান:“আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমতুল্য বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছি। আশা করছি এইবার আমাদের দাবি পূরণ হবে।”তবে রাজ্য সরকার যদি রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রতি সদয় হয় তাহলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি পাবে। এর সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি DA প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
সমস্ত কিছু সঠিকভাবে হলে রাজ্যে চেয়ারম্যান নিয়োগের পর কমিশন গঠন করা হবে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে এ ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কমিটি গঠন হলে সকলে মিলে বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবনা তৈরি করবে এবং সেটি রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ করা হবে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতনের ফারাক কিছুটা কমবে এবং রাজ্যের সমস্ত ধরনের সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থারই পরিবর্তন আনবে এই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ও অন্যান্য দিক বিচার বিশ্লেষণ করে তারপর সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে চলেছেন।