সবেমাত্র দুর্গাপূজো শেষ হল। সামনেই আসছে আলোর উৎসব দীপাবলী। এই উৎসবের মরশুমে উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে এক দুর্দান্ত খুশির খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের প্রতিটি মানুষ বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন। কিন্তু কি সেই খুশির খবর? জানতে চাইলে প্রতিবেদনের শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক চালু হওয়া নতুন একটি নিয়ম মানলেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া যাবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। যে কেউ এই টাকা পেতে পারেন। তার জন্য শুধু ছোট্ট একটা নিয়ম মানতে হবে। তাহলেই আপনি খুব সহজেই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই এই টাকা পেতে গেলে কি নিয়ম মানতে হবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে? কতদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে? এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজ প্রচেষ্টায় এ রাজ্যের দরিদ্র গৃহহীন মানুষদেরকে নিজস্ব বাসস্থান নির্মানের স্বপ্ন দেখিয়েছে এক বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করে। যার নাম বাংলার বাড়ি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে রাজ্য সরকার। সুতরাং আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং নিজস্ব বাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন দেখে থাকেন কিন্তু অর্থের অভাবে তা করতে অক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রকল্পের আওতায় নির্দ্বিধায় আবেদন করতে পারেন। স্বপ্ন আপনার এবং তা পূরণ করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে সমস্ত সমীক্ষার শেষে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হন তাদেরকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। আমাদের রাজ্যের দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী যে সকল বাসিন্দাদের মাথার উপর নিজস্ব ছাদ নেই তাদেরকে এই প্রকল্পের আওতায় নিজের বাড়ি বানিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উন্নতির স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পের পুরাতন নিয়ম গুলি বদল করে কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে। যার ফলে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দুর্নীতি ও এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকার অপচয় এই দুটোকেই বন্ধ করতে পারবে বলে সরকারের বিশ্বাস।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নতুন নিয়মটি হল এবার থেকে আবেদনকারীর যোগ্যতা অর্থাৎ তার সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে তারপরই তাকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে কারা কারা এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার যোগ্য তা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সমীক্ষা শুরু করা হবে আগামী ২১ শেষ অক্টোবর থেকে। এই সমীক্ষায় যারা যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন কেবলমাত্র তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই এই প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ পাঠাবে রাজ্য সরকার।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় দেওয়া টাকা একবারেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় না। এই টাকা তাদেরকে দেওয়া হয় তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে অর্থাৎ একেবারে শুরুতে দেওয়া হয় ৬০,০০০ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ নির্ধারিত মাপদন্ড সম্পন্ন হওয়ার পর দেওয়া হয় ৪০,০০০ টাকা এবং ঘর তৈরির একেবারে শেষের মূহুর্তে দেওয়া হয় ২০,০০০ টাকা।
সরকার কর্তৃক এক বিশেষ সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে আমাদের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৩০-৪০ হাজার অসমাপ্ত বাড়ি রয়েছে যেগুলি উপভোক্তারা সঠিক সময় মতো এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা পাওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ করেনি। সেই টাকা নিজেদের অন্য কোনো পারিবারিক কাজে খরচ করেছেন। সেই কারণেই এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি করে বন্ড পেপার দিতে চায়। যার মধ্যে লেখা থাকবে যে এই প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্য টাকা তারা কেবলমাত্র নিজের বাড়ি তৈরির কাজেই ব্যাবহার করবেন আর অন্য কোনো কাজে নয়।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.
মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় ডাক বিভাগে গ্ৰুপ সি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে | Post Office Group… Read More
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার শূন্যপদে গ্ৰুপ ডি কর্মী… Read More
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হল, কবে থেকে পাবেন জেনে নিন।… Read More
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে আবারো নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল, বিস্তারিত জেনে… Read More
রাজ্য সরকারের এই ভাতার পরিমাণ ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৮০০ টাকা করা হল, কবে থেকে… Read More
২০২০ সালে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এক বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।… Read More