দু-চারদিন ছাড়া ছাড়াই চলতে থাকা লাগাতার বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা জলমগ্ন হয়ে যাওয়াতে অনেক দরিদ্র পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। নিজেদের বসত বাড়ি হারিয়ে বহু মানুষ পথে নেমেছেন। এই অতিবৃষ্টির কারনে যারা সবচাইতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা হলেন এ রাজ্যের কৃষকেরা। একটানা চলতে থাকা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে বহু কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে।
বন্যার প্রকোপে পড়া এইসব অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা যেমন বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া ও মেদিনীপুরের কয়েকটি বন্যা দুর্গত অঞ্চল স্বরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন। সেখানে কৃষক দের দুরাবস্থা নিজ চোখে দেখে আসার পর তাদের এইরূপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এইসব বন্যা দুর্গত কৃষকদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ করতে “শস্য বীমার” টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
বন্যার প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাঁকুড়া জেলার বরজোড়া ও পূর্ব বর্ধমানের কয়েকটি জায়গায় গিয়ে সেখানকার কৃষকদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এইসব অসহায় কৃষকদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখে তার সামনে কান্নায় ফেটে পড়েন। কৃষকদের এইরূপ অসহায় অবস্থা দেখে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন যে জমি থেকে বৃষ্টির জল নিকাশ হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা হবে যে জমির কতটা অংশের ফসল নষ্ট হয়েছে। সমীক্ষার ফলাফলে যতটা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাবে সেই অনুযায়ী হিসাব করে “শস্য বীমার” টাকা দেওয়া হবে। শুধুমাত্র শস্য বীমার টাকাই নয় তার পাশাপাশি যাদের কাঁচা বাড়ি বন্যায় ভেঙে গেছে তাদেরকে নতুন করে ঘর তৈরি করার জন্য টাকা ও দেওয়া হবে।
শস্য বীমার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শস্য বীমা প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীদের ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে হবে। কারন এই প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা মাঝে মধ্যেই ক্যাম্পের ব্যাবস্থা করে থাকেন। এইসব ক্যাম্প গুলি ছাড়াও কৃষকরা তাদের নিকটবর্তী কৃষি অফিসে গিয়েও শস্য বীমার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
শস্য বীমা প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সময় আবেদন পত্রের সঙ্গে যে যে ডকুমেন্টস গুলি জমা দিতে হবে সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীর নিজের আধার কার্ড।
২) আবেদনকারীর নিজের ভোটার কার্ড।
৩) নিজের নামে থাকা ব্যাঙ্কের পাস বুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
৪) জমির পরচা বা দলিল।
৫) কোনো কৃষকের যদি নিজস্ব জমি না থাকে তাহলে সে যে জমির জন্য শস্য বীমার আবেদন করবে সেই জমির মাপ সেই সঙ্গে তার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
৬) আবেদনকারী যে ব্লকের বাসিন্দা সেই ব্লক, সেখানকার কৃষি আধিকারিক বা তার অনুমোদন প্রাপ্ত প্রতিনিধি অথবা রেভিনিউ অফিসার বা ইন্সপেক্টরের দেওয়া ফসল রোপনের সার্টিফিকেট।
আবেদনের জন্য ফর্ম কোথা থেকে পাওয়া যাবে?
শস্য বীমার আবেদনের ফর্ম আপনি আপনার নিকটবর্তী কৃষি অফিস থেকে বা আপনি যে পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সেখানকার যে বীমা প্রতিনিধি আছেন তার কাছেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এই প্রতিবেদনের একেবারে শেষে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিঙ্কে ক্লিক করে সেখান থেকেও আবেদন পত্র ডাউনলোড করা যাবে।
কোন কোন জেলার কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে?
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাঁকুড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এর বন্যা দুর্গত কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও বাকি আরও যে সব জেলা রয়েছে সেখানকার কৃষকদের ও শস্য বীমার টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কবে দেওয়া হবে এই টাকা?
শস্য বীমা প্রকল্পের জন্য আবেদন পত্র জমা নেওয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরো অক্টোবর মাসটা এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। তারপর এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দপ্তরের মারফত খবর পাওয়া গেছে যে এই ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বীমার টাকা কৃষকদেরকে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন যে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই এই শস্য বীমার টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
ফর্ম ডাউনলোড করার লিঙ্ক:- এখানে ক্লিক করুন (CLICK HERE)
Bangla Sasya Bima Form 2024 Pdf :- CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.
মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় ডাক বিভাগে গ্ৰুপ সি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে | Post Office Group… Read More
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার শূন্যপদে গ্ৰুপ ডি কর্মী… Read More
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হল, কবে থেকে পাবেন জেনে নিন।… Read More
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে আবারো নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল, বিস্তারিত জেনে… Read More
রাজ্য সরকারের এই ভাতার পরিমাণ ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৮০০ টাকা করা হল, কবে থেকে… Read More
২০২০ সালে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এক বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।… Read More