কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পান।
কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার এ দেশের সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। এইসব প্রকল্প গুলির মধ্যে একাধিক আর্থিক সহায়তা মূলক প্রকল্প রয়েছে। এমনই এক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় আপনি ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। শুধু তাই নয় এই প্রকল্পের আওতায় জমা করা টাকা আপনি প্রতি মাসে সুদ সহ ফেরতও পেয়ে যাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিশেষ প্রকল্প দেশবাসীর কাছে ইতিমধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্পটি মূলত কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দেশের যুবক যুবতী ও মাঝ বয়সী জনগণের জন্য চালু করেছে।
যতদিন পর্যন্ত আমাদের বয়স কম থাকে ততদিন পর্যন্ত আমরা পরিশ্রম করে উপার্জন করতে পারি। ফলে সেই সময়ে আমাদের টাকা পয়সার কোনো অভাব থাকে না। তবে যখন আমরা বৃদ্ধ হয়ে যাই তখন আমাদের আর কাজ করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে সেই সময়ে আমাদের টাকা পয়সার অভাব হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বৃদ্ধ বয়সে ছেলে মেয়েরা তাদের পিতা মাতাকে দেখাশোনা করে না। অন্যদিকে সেই সময়ে তারা শারিরীক ভাবে অক্ষম হয়ে যাওয়ার কারনে নিজেরা খেটে উপার্জন করার মতো জায়গাতেও থাকে থাকেন না। ফলে তখন অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে তাদেরকে অন্যের ভরসায় অপেক্ষা করে দিন কাটাতে হয়।
এই সকল অসহায় ও নিঃস্ব মানুষদের আর্থিক দিক থেকে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছে। যে প্রকল্পের আওতায় আপনি অল্প বয়স বা মাঝ বয়সে উপার্জন করা কালীন কিছু টাকা জমিয়ে রাখতে পারবেন। তারপর যখন আপনি বৃদ্ধ হয়ে যাবেন যখন আপনার আর খেটে উপার্জন করার মতো ক্ষমতা থাকবে না তখন এই জমানো টাকা আপনি সুদ সহ ফেরত পাবেন। সেইসঙ্গে প্রতি মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা পেনশন হিসেবে পাবেন। যা দিয়ে আপনি আপনার বৃদ্ধ বয়সে আরামে ও স্বচ্ছতা ভাবে জীবন কাটাতে পারবেন। কারোর উপরে ভরসা করে বাঁচতে হবে না। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য যেমন কিভাবে আবেদন করতে হবে? কত টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে? এই প্রকল্পের আওতায় কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে প্রাপ্ত সুবিধা:-
এতক্ষণ ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলে চলেছি তার নাম হল NPS প্রকল্প। যেখানে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় আপনি যে পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করবেন তার ৬০ শতাংশ আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তুলে নিতে পারবেন। আর বাকি যে ৪০ শতাংশ জমা থাকবে তার থেকে প্রতি মাসে মাসে পেনশন দেওয়া হবে। এই পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার মোট জমা রাখা টাকার উপর। এখানে আপনি যত বেশি পরিমাণে টাকা জমা রাখবেন তত বেশি পরিমাণে পেনশন পাবেন। যদি মনে করুন আপনি এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে জমা রাখেন তাহলে ২৫ বছরে আপনার মোট জমানো টাকার পরিমাণ হবে ৪,৫০,০০০ টাকা। এই টাকার উপরে যদি আপনাকে ১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয় তাহলে সুদ আসল মিলিয়ে মোট টাকার পরিমাণ হবে ১,৫৫,৬৮,৩৫৬ টাকা। এক্ষেত্রে আপনার আসল ও সুদ মিলিয়ে মোট টাকার পরিমাণ হবে ২,০০,৬৮,৩৫৬ টাকা। এই টাকা থেকে ৪০ শতাংশ টাকা অর্থাৎ ৮০,২৭,৩৪২ টাকা আপনি যদি এই প্রকল্পের আওতায় জমা রেখে দেন তাহলে সেই টাকার ৮ শতাংশ সুদ হিসেবে ৫৩,৫১৬ টাকা পেনশন হিসেবে আপনাকে প্রতি মাসে দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি:-
কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ এই প্রকল্পের আওতায় অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তার জন্য সবার আগে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে গিয়ে সেখান থেকে এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ করার জন্য ফর্ম তুলতে হবে। তারপর সেই ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে সঠিক তথ্য বসিয়ে ফর্মটি ফিলাপ করতে হবে। তারপর যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তার সঙ্গে যুক্ত করে ওই ব্যাঙ্কেই জমা দিতে হবে। তাহলেই আবেদন হয়ে যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
আবেদন পত্রের সঙ্গে যে যে ডকুমেন্টস গুলি যুক্ত করে জমা দিতে হবে সেগুলি হল- আধার কার্ডের জেরক্স, ভোটার কার্ডের জেরক্স, প্যান কার্ডের জেরক্স ও ব্যাঙ্কের পাস বুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
আমাদের চ্যানেলের তরফ থেকে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি পড়ার পরেও যদি আপনাদের এই প্রকল্পের বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে কিছু জানার থাকে তাহলে NPS এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখান থেকে এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.