নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা করে শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।
আমাদের দেশের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি দুর্দান্ত সুখবর। দেশের প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াকে একটি বিশেষ উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশের সেই সকল ছাত্র ছাত্রীরা যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তাদের জন্য নতুন এক প্রকল্প চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার মাধ্যমে উল্লেখিত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের টাকা ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চালু হওয়া নতুন এই প্রকল্পের নাম কি? এই প্রকল্পের আওতায় কিভাবে আবেদন করতে হবে? কত দিনের মধ্যে টাকা পাওয়া যাবে? এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে চালু হওয়া নতুন এই প্রকল্পের নাম হল পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনা। আমাদের দেশের সেই সকল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা যারা অর্থের অভাবে মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তাদেরকে উচ্চশিক্ষা লাভে সাহায্য করতে এই প্রকল্প চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর সারা দেশের ২২ লক্ষ পড়ুয়াকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার তরফ থেকে এই প্রকল্প কার্যকর করার অনুমোদন মিলেছে। এই প্রকল্পটি আমাদের দেশের সেই সকল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা যারা অর্থের অভাবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তাদেরকে ভালো নামকরা কলেজে ভর্তি হতে সাহায্য করবে।
পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনা কি?
পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনা আমাদের দেশের সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভে সাহায্য করবে যারা পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারনে মাঝ পথে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এই যোজনার মাধ্যমে সেইসব মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের আমাদের দেশের ৮৬০ টি বিখ্যাত কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ঋন দেওয়া হবে। সবচাইতে বড় বিষয় হলো এই প্রকল্পের আওতায় কোনো রকম কোনো জামানত অর্থাৎ গ্যারেন্টি ছাড়াই ঋন পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত লক্ষ ঋনের উপর ৭৫ শতাংশ ক্রেডিট গ্যারেন্টি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে একদিকে যেমন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির কভারেজের ক্ষেত্রে লাভ হবে অন্যদিকে তেমনি ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে সাহায্য হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ দেওয়া হবে যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে। তাদেরকে এই ১০ লক্ষ টাকা ৩ শতাংশ সুদের হারে দেওয়া হবে। অন্যদিকে যে সকল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৪.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে তাদের থেকে কোনো রকম সুদ নেওয়া হবে না। একেবারে বিনা সুদে তাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনার আওতায় কিভাবে ঋণ পাবেন?
পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনা ভারতের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের নামকরা কলেজে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ভর্তি হতে সাহায্য করবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, এই যোজনার আওতায় ভারতের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলি থেকে শিক্ষা ঋন পাওয়া যাবে। এই শিক্ষা ঋন পাওয়ার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনার অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া ঋনের উপর সুদের যে সাবভেনশন থাকবে তা তাদেরকে ই-ভাউচার বা সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ডিজিটাল কারেন্সি ওয়ালেটের মাধ্যমে দেওয়া হবে। চলতি মাসের গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা ঋন নেওয়ার জন্য কোনো রকম গ্যারেন্টার রাখার প্রয়োজন নেই। দেশের প্রতিটি মেধাবী ছাত্র ছাত্রীকে নামকরা কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে সাহায্য করাই হল প্রধানমন্ত্রী মূল লক্ষ্য।
পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনার সুদের সাবভেনশন সিস্টেম কি?
এই প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত লক্ষ ঋনের উপর ৭৫ শতাংশ ক্রেডিট গ্যারেন্টি প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও যে সকল ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকা মধ্যে এবং যারা অন্য কোনো সরকারি স্কলারশিপের আওতায় নেই তাদেরকে ৩ শতাংশ সুদের হারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ প্রদান করা হবে এই পি.এম বিদ্যালক্ষী যোজনার আওতায়। প্রতি বছর এই ঋনের মাধ্যমে ১ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে সুদের সহায়তা দেওয়া হবে। যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা কোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন অথবা প্রযুক্তি গত বা পেশাদারী কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য এই ঋণ নিতে চাইবেন তাদেরকে অগ্ৰাধিকার দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ থেকে শুরু করে ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই ছয় বছরের মধ্যে আমাদের দেশের ৭ লক্ষ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা ঋন পাবেন বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.