আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংক হল HDFC ব্যাংক। অন্যান্য সকল ব্যাংকগুলির মতই এই ব্যাংকেরও বিভিন্ন যেসব শাখা রয়েছে সেগুলিতে নানা ধরনের পদে প্রচুর সংখ্যক ছেলেমেয়ে নেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এমন অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা ব্যাংকে চাকরি করতে ইচ্ছুক। তারা চায় ব্যাংকে কোনো ভালো কাজ করার মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। তাই আজ এইচ ডি এফ সি ব্যাংকের তরফ থেকে প্রকাশিত হওয়া এই নিয়োগের বিষয়ে জানতে পারার পর সেই সমস্ত প্রার্থীর মন যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠবে সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। সারাদেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে গড়ে ওঠা এই ব্যাংকের অসংখ্য ব্রাঞ্চ রয়েছে। এই সকল স্থানে এবারে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো মাধ্যমিক পাস। তাই আর অকারণে অপেক্ষা করে এরকম এত কম যোগ্যতায় এত ভালো একটা জায়গায় চাকরি কারোরই হাতছাড়া করা উচিত নয়। যত শীঘ্র সম্ভব হয় তত শীঘ্রই আমাদের চ্যানেলের তরফ থেকে প্রকাশ করা এই প্রতিবেদনটি পড়ুন এবং আবেদনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ ফেলুন।
কি কি শূন্য পদে এবং কোথায় নিয়োগ করা হবে ?
সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে HDFC ব্যাংকের অজস্র শাখা প্রশাখা রয়েছে। কাজেই প্রত্যেক প্রার্থী যে নির্দিষ্ট স্থানের হয়ে আবেদন করবেন তাকে সেই সেই স্থানে কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মোট শূন্য পদের সংখ্যা হল ১২৫৫১ টি। বহুদিন পর আবারো এত বড় একটা ব্যাংকের তরফ থেকে এত সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাওয়া গেল। এখানে যে সমস্ত শূন্য পদ রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে নিচে বলা হলো।
১. ক্লার্ক
২. ব্রাঞ্চ ম্যানেজার
৩. রিকভারি অফিসার
৪. বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার
৫. কালেকশন অফিসার
৬. রিলেশন ম্যানেজার
৭. স্পেশালিস্ট অফিসার
৮. নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
৯. প্রহিবিটারি অফিসার
১০. একাউন্টেন্ট
১১. কাস্টমার রিলেশনশিপ অফিসার এবং
১২. ম্যানেজার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে।
কি ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে ?
HDFC ব্যাংকের তরফ থেকে প্রকাশিত হওয়া সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে আবেদন করার জন্য অবশ্যই সরকার স্বীকৃত কোন বোর্ড থেকে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে। তবে গ্ৰ্যাজুয়েশন বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন বা অন্যান্য উচ্চশিক্ষার অধিকারী প্রার্থীরাও এখানে সকল ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য যোগ্য।
আবেদনের জন্য আবশ্যিক বয়সসীমা:-
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে উপলব্ধ পদগুলিতে আবেদনের জন্য একজন ইচ্ছুক প্রার্থীর বয়স হতে হবে অবশ্যই ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা অনুযায়ী বয়সে ছাড় থাকবে।
আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ?
এখানে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদেরকে যে সকল নথিপত্র গুলি নিজেদের সঙ্গে রেখে আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য এগোতে হবে সেগুলি হল
১. এক কপি রঙিন ও রিসেন্ট পাসপোর্ট সাইজ ফটো ও সিগনেচার।
২. আধার বা ভোটার বা রেশন কার্ড বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি যেকোনো একটি ফটো আইডি প্রুফ।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় প্রমাণসমূহ।
৪. বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড অথবা আধার কার্ড।
৫. কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
৬. এক কপি বায়োডাটা
আবেদন প্রক্রিয়া:-
উল্লেখিত বিভিন্ন পদ গুলিতে hdfc ব্যাংকের অধীনে নিয়োগ পেতে গেলে প্রার্থীদের কে সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট ভাবে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রার্থীদেরকে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে হবে।
১. সর্বপ্রথম প্রার্থীদেরকে এইচ ডি এফ সি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.hdfcbank.com এ যেতে হবে।
২. তারপর Careers অপশনে ক্লিক করে পরের পেজে চলে আসতে হবে।
৩. এখানে Post and Job Location অপশন দুটিতে ক্লিক করে প্রার্থীদেরকে তাদের পছন্দ এবং যোগ্যতা মতো পদের নাম এবং জায়গার নাম বাছতে হবে।
৪. তারপর নিজের পছন্দ ও যোগ্যতার মতো পদের নিচে Apply Now বাটনে ক্লিক করে সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৫. সবশেষে সেই পদের জন্য অ্যাপ্লাই করে দেওয়া মাত্রই সেই অ্যাপ্লিকেশনটি সেন্ট হয়ে যাবে এইচ ডি এফ সি ব্যাংকের কাছে।
বেতন কাঠামো:-
HDFC ব্যাংকের অধীনে নিয়োগ করা এই সকল বিভিন্ন পদে যে সমস্ত প্রার্থীরা মনোনীত হবেন তাদেরকে কাজের শুরুতে ২০ হাজার টাকা থেকে বেতন প্রদান করা হবে। তবে পরে গিয়ে এই বেতনসীমা ৫০ হাজার পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিরা Provident Fund, TA, Incentive ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা গুলি ভোগ করে থাকবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের বেতন প্রদান করা হবে কোম্পানি পেরোলের অধীনে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া:-
এইচ ডি এফ সি ব্যাংকের তরফ থেকে প্রকাশিত হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে এক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচনের জন্য কোন রকম লিখিত বা অনলাইন বেস্ড পরীক্ষার আয়োজন করা হবে না। প্রার্থীদের আবেদন অনুযায়ী প্রথমে একটি মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তারপর সেই তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের সরাসরি ডেকে নেওয়া হবে ইন্টারভিউ ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য। প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার করে ও তাদের নথিপত্রের বৈধতা যাচাই করার পর এবং সংশ্লিষ্ট পদ গুলিতে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা দেখার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নিয়োগ পত্র তুলে দেয়া হবে নির্দিষ্ট উপযুক্ত প্রার্থীর হাতে।
আবেদনের জন্য সময়সীমা:-
এক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার শেষ তারিখ সম্পর্কে অফিসিয়াল নোটিফিকেশনে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তবুও সকল প্রার্থীকে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন বিলম্ব না করে শীঘ্রই আবেদন করতে শুরু করে দেয়। কারণ এত ভালো সুযোগ কিন্তু বারবার আসে না। তাই কোন ভাবেই এরকম সুবর্ণ সুযোগকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। এ বিষয়ে আরো বিশদে জানতে উপরোক্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে একবার অফিশিয়াল নোটিফিকেশনটি পড়ে ফেলুন।