ভারতবর্ষে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিরাট বড় খুশির খবর। এতদিন পর্যন্ত কেবলমাত্র আমাদের দেশের উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলাদের ৪৫০ টাকাতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দিত কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবারে এই নিয়মে এল বড়সড় বদল। এবার থেকে কেবলমাত্র উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলাদের নয় ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট (NFSA )এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডারকে ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সাধারণ দরিদ্র পরিবার গুলির জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। যার মধ্যে একটি হলো প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। আমাদের দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা যারা এত দাম দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতে পারেন না তাদেরকে সস্তায় রান্নার গ্যাস বিতরণের জন্য এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় আমাদের দেশের দরিদ্র পরিবারের মা বোনেদের হেঁসেলে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা দীর্ঘদিনের কাঠ কয়লার ধোঁয়া থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
তবে যত দিন যাচ্ছে ততই রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে এত বেশি টাকা দিয়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কেনা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই সাধারণ দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের পক্ষে গ্যাসে রান্না করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এইসব দরিদ্র পরিবার গুলির পাশে দাঁড়াতে এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট (NFSA )এর মাধ্যমে প্রতিটি রেশন কার্ড ধারী পরিবারকে ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
NFSA এর মাধ্যমে এতদিন পর্যন্ত দেশের দরিদ্র পরিবার গুলিকে কেবলমাত্র বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য প্রদান করছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার থেকে বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে ভর্তুকি হারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ও দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন শুধুমাত্র উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলাদের ভর্তুকি হারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হতো তবে এখন থেকে এই উজ্জ্বলা যোজনার বাইরেও যাদের NFSA এর অধীনে রেশন কার্ড রয়েছে সেইসব পরিবার গুলিকে ভর্তুকি হারে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
বর্তমানে আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ কোটি পরিবার NFSA এর অধীনে বিনামূল্যে রেশন দ্রব্য পেয়ে থাকেন। যার মধ্যে ৩৭ লক্ষ পরিবারের মহিলাদের নাম উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় নথীভুক্ত থাকার কারনে ইতিমধ্যেই তারা ভর্তুকি হারে অর্থাৎ ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন নিয়ম চালু হলে আমাদের রাজ্যের বাকি ৬৩ লক্ষ পরিবারের মহিলারাও এই ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাসের সুবিধা পাবেন।
৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার জন্য কি করতে হবে?
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশের NFSA এর অধীনে থাকা প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডারকে ভর্তুকি হারে রান্নার গ্যাস দেওয়ার যে নিয়ম চালু করা হয়েছে তার মাধ্যমে ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস পাওয়ার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কাজ গুলি করতে হবে। যেমন-
১) LPG আইডির সঙ্গে আপনার ও আপনার পরিবারের রেশন কার্ডের নাম্বার লিঙ্ক করাতে হবে।
২) রেশন কার্ডের ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে। এর ফলে সরকারের কাছে প্রতিটি রেশন কার্ড হোল্ডার পরিবারের ডিটেইলস জমা পড়বে। সেখান থেকে সরকার বেছে বেছে যে সকল পরিবার গুলি দরিদ্র পরিবার তাদের নামের একটি আলাদা তালিকা তৈরি করবে। তারপর সেই দরিদ্র পরিবার গুলিকে ভর্তুকি হারে অর্থাৎ ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদান করবে। আপনি যদি এমনি একটি পরিবারের অন্তর্গত হয়ে থাকেন তাহলে এই সুবিধা ভোগ করতে আজই আপনার LPG আইডির সঙ্গে আপনার ও আপনার পরিবারের সকল সদস্যের রেশন কার্ড এর নাম্বার লিঙ্ক করান।
কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র যে পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র পরিবার গুলিকে এই ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করার সুবিধা দিচ্ছে এমনটা নয়। রাজস্থানের দরিদ্র পরিবার গুলির মহিলারাও যাতে গ্যাস ব্যাবহার করে রান্না করতে পারেন তার জন্য সেখানকার দরিদ্র পরিবার গুলিকে ও ভর্তুকি হারে অর্থাৎ ৪৫০ টাকা মূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.