প্রাইমারি শিক্ষকতার চাকরি করতে হলে চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই d.el.ed যোগ্যতা বাধ্যতামূলক। তবে NCTE একবার ঘোষণা করেছিলেন B.ED চাকরি প্রার্থীরাও প্রাইমারি চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল 2020 সালে। যাদের মধ্যে বেশিরভগই B.ED ডিগ্রিধারী ছিল। তবে বলা হয়েছিল যারা বিএড ডিগ্রী করবেন তাদের ৬ মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করে নিতে হবে। এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছিল সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ই এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে ।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে B.ED ডিগ্রিধারীদের প্রাথমিক নিয়োগে ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এও বলা হয় যে ১১ আগস্ট, ২০২৩ তারিখের আগে যারা প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন বিএড ডিগ্রি দিয়ে তাদের চাকরি যাবে না তবে তাদের ছয় মাসের মধ্যে একটি ব্রিজ কোর্স করে নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এও বলা হয়েছিল এক বছরের মধ্যে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী রয়েছে যারা বিএড করেছেন তাদের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করাতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঐ সমস্ত প্রার্থীরা ব্রিজ কোর্স না করেন তাহলে তাদের চাকরি বাতিল হয়ে যাবে।
আদালতের নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই NCTE নতুন করে এবং নতুন ভাবে ছয় মাসের জন্য ব্রিজ কোর্স চালু করেছেন। ইতিমধ্যেই এটি ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এখানে কেবলমাত্র বিএড ডিগ্রিধারী প্রাইমারি শিক্ষক এরাই এই কোর্সটি করতে পারবেন। অন্য কোন ব্যক্তি এই কোর্সে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এখানে ভর্তির জন্য অনলাইনে পোর্টাল চালু করার কথা বলা হয়েছে।
NCTE এই কোর্সটি পরিচালনা করার জন্য NIOS পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ODL পদ্ধতিতে করানো কথা বলেছেন। এই করছে অংশগ্রহণ নেওয়ার এক বছরের মধ্যে কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যদি কেউ এক বছরের মধ্যে এই কোর্সটি সম্পন্ন করতে না পারে তাহলে তার চাকরি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে এই কষ্টের সকলের জন্য নয় যারা প্রাইমারিতে চাকরি করছেন এবং b.ed ডিগ্রিধারী তারাই কেবলমাত্র এই কোর্সে নাম নথিভুক্ত করে এই কোর্সটি করতে পারবেন। এই কষ্টে করা থাকলে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরির প্রমোশনের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রে d.el.ed ডিগ্রিধারীদের মতো সমমানের মর্যাদা পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য NCTE বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন।