প্রত্যেক রাজ্য বাসীকে ২ কাঠা করে জমি বিতরণ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।
পশ্চিমবঙ্গ বাসীদের জন্য বিরাট বড় সুখবর। বিশেষ এক প্রকল্পের মাধ্যমে সকল সাধারণ পরিবারকে ২ কাঠা করে জমি বিতরণ করছে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই জমি দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে ৭০ টিরও বেশি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যার দ্বারা উপকৃত হয়েছেন বাংলার আট থেকে আশি বছর বয়সী সকলেই। তবে এই খানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্ৰামীন আবাস যোজনা (PMGAY) এর মাধ্যমে বিনামূল্যে বসবাসযোগ্য জমি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জমি পেতে গেলে কি করতে হবে? কাদেরকে এই জমি দেওয়া হবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে? চলুন এই সব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দীর্ঘদিন যাবৎ কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের প্রতিটি সহায় সম্বল হীন মানুষকে নিজস্ব বসতবাড়ি নির্মানের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে চলেছিল। তবে আমাদের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্ৰামীন আবাস যোজনাকে ঘিরে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের কারণে বিগত আড়াই বছর ধরে এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ হেন পরিস্থিতিতে এই গুরু দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে এইসব অসহায় মানুষদের বসতবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তাঁর তৈরি করা এই নতুন প্রকল্পের নাম দিয়েছেন বাংলা আবাস যোজনা। এবারে এই প্রকল্পের আওতাতেই ২ কাঠা করে জমি বিতরণ করছে রাজ্য সরকার।
বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের ১১ লক্ষ গৃহহীন মানুষের জন্য বসতবাড়ি নির্মান করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর যেহেতু রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে বসতবাড়ি নির্মান করানো হচ্ছে তাই এবারে আর কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো রূপ বিরোধীতা ই এক্ষেত্রে ধোপে টিকবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আবাস যোজনার মূল উদ্দেশ্য হল বাংলার সহায় সম্বল হীন দরিদ্র পরিবারের মাথার উপর স্থায়ী ছাদ বানিয়ে দেওয়া। বাংলা আবাস যোজনার আওতায় যে ২ কাঠা করে জমি বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সেই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি একটি বিশেষ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন যে যারা যারা এই প্রকল্পের আওতায় ২ কাঠা জমি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদেরকে আগে জমির পাকাপোক্ত দলিল দেওয়া হবে। তারপর বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্ৰামীন আবাস যোজনার আওতাতেও বিনামূল্যে জমি বিতরণ করার নিয়ম অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেক্ষেত্রে ১ কাঠা করে জমি দেওয়ার নিয়ম ছিল। যদিও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে সেই সুযোগ পাওয়া থেকে দেশ তথা রাজ্যের অনেকেই এতদিন পর্যন্ত বঞ্চিত ছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলা আবাস যোজনার আওতায় ২ কাঠা করে জমি দেওয়া হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রী গ্ৰামীন আবাস যোজনার আওতায় দেওয়া জমির পরিমানের তুলনায় দ্বিগুণ।
চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আবাস যোজনার সমীক্ষা শুরু করা হয়েছে। যার দ্বারা রাজ্য সরকারি আধিকারিকেরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন করে সত্যি সত্যিই যাদের মাথার উপর স্থায়ী ছাদ নির্মাণের জন্য নিজস্ব জমি নেই তাদের নাম এই প্রকল্পের আওতায় নথীভুক্ত করছেন। রাজ্য সরকারের এরূপ উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে একটাই কারন তা হল যারা সত্যি সত্যিই অসহায় সহায় সম্বল হীন তাদেরকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে রাজ্য সরকারি আধিকারিক দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে যারা সত্যিকারের জমি হীন তাদের নাম আলাদা করে একটি তালিকা ভুক্ত করার এবং তাদেরকে যত শীঘ্র সম্ভব জমির দলিল পাইয়ে দেওয়া সুনিশ্চিত করার।
এই সমীক্ষার শেষে রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সংগ্ৰহ করা জমি হীন মানুষদের তালিকায় যাদের যাদের নাম থাকবে তাদের নিজস্ব বসতবাড়ি নির্মানের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেওয়া ২ কাঠা জমি যদি তার বর্তমান বাসস্থানের কাছাকাছি না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তার অনুমতি নিয়ে তাকে অন্য কোথাও জমি দেওয়া হবে বসতবাড়ি নির্মানের জন্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ জমি বিতরণ করার মধ্য দিয়ে তৃনমূল সরকার আরও কিছু বছর নিজেদের রাজত্ব চালানোর পথ প্রশস্ত করছে।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন… Read More
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের উদ্দেশ্যে দুর্দান্ত খুশির খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এবারের কৃষক বন্ধু… Read More
মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় ডাক বিভাগে গ্ৰুপ সি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে | Post Office Group… Read More
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার শূন্যপদে গ্ৰুপ ডি কর্মী… Read More
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হল, কবে থেকে পাবেন জেনে নিন।… Read More
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে আবারো নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল, বিস্তারিত জেনে… Read More