Super Numeric Post বিতর্ক: রাজ্যের কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টে, বিকাশরঞ্জনের চেম্বার ঘেরাওয়ে উত্তেজনা

SSC মামলা নিয়ে ফের একবার উত্তপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছু শিক্ষক যেমন শরীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষার কিছু শিক্ষকের নিয়োগ ঘিরে ফের উত্তপ্ত কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আবারো সুপার নিউমোরিক পোস্ট (Super Numeric Post) সংক্রান্ত মামলায় নতুন করে রাজ্যের কাছ থেকে লিখিত কৈফিয়ত তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আর সেই নির্দেশের পরই হাইকোর্ট চত্বরে দেখা দিল তীব্র উত্তেজনা। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফেরদৌস শামীম বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, এই মামলায় মামলাকারীদের আইনজীবী হিসেবে এই মামলা লড়ছেন। অভিযোগ, আদালতে একাধিকবার রাজ্যের বিরুদ্ধে যেটা সম্পুর্ন ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকার বিপক্ষে যাচ্ছে এই পদক্ষেপ চাওয়াতেই তার চেম্বারের সামনে জমায়েত করেন একাংশ শিক্ষক। বিকেল পাঁচটা থেকে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন, এরপরেই বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফেরদৌস শামীমের দিকে তারা ছেড়ে আসেন। এই অবস্থান বিক্ষোভের সময় ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগানে মুখরিত হয় চত্বর। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশ বাহিনী এবং তারা পুরো ঘটনাটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

জানা গিয়েছে, সুপার নিউমোরিক পোস্টের মাধ্যমে এই শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়েছিলেন। যদিও এটা পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল রাজ্যের ক্যাবিনেট চাইলে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগ দিতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, কিছু আইনজীবীর বারবার আইনি লড়াইয়ের ফলে তাঁদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, অনেক বৈধ শিক্ষক-শিক্ষিকা এই মামলার জন্য চাকরি থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই প্রতিবাদ জানাতেই বিকাশবাবুর চেম্বার ঘেরাও করেন তাঁরা।

এদিকে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে আদালত রাজ্যকে স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছে, অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি হয়েছে, তা লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এবং লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে আদালতে। মৌখিকভাবে নয়, রাজ্যকে যথাযথ নথি সহ আদালতে উত্তর জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ৬ মে।

সূত্রের খবর, আন্দোলন চলাকালীন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন না। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তাঁর কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে আদালত চত্বরে।

উল্লেখ্য, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সিবিআই তদন্ত চলছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে গেল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই জন্যই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলন করে বিক্ষোভ দেখান।

Leave a Comment