আমাদের দেশ তথা রাজ্যের সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে একের পর এক সাহায্যমূলক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু করেছে বা এখনও চালু করে চলেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়েই। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সকলের জন্যই কোনো না কোনো প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। আজ আমরা এমনই এক প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনারা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন ১০,০০০ টাকা।
কি ভাবছেন স্বপ্ন দেখছেন? আরে না না স্বপ্ন নয় ১০০% সত্যি। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আবেদন করলে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। ২০২০ সালে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। যার নাম হল তরুনের স্বপ্ন। এই তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ১০,০০০ টাকা করে পাবেন। এই প্রকল্প চালু করার পিছনে রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য হল স্কুল পড়ুয়াদের লেখাপড়াকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করা।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ১০,০০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ইত্যাদি কেনার জন্য। মাধ্যমিক পাস করার পর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলেই এই টাকা দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরে এই তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ প্রায় শেষ হতে চলেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন বহু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া রয়েছেন যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া ১০,০০০ টাকা এখনও পর্যন্ত ক্রেডিট হয়নি। সেই কারণে আদৌ এই টাকা তারা পাবেন কি না এই বিষয়টিকে ঘিরে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে চরম চিন্তা দেখা দিচ্ছে।
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে চিন্তা দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে যে স্কুল গুলি রয়েছে সেখানকার ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের টাকা আসেনি। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চিন্তার কোনো কারণ নেই খুব তাড়াতাড়িই তাদের সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। তবে এর জন্য মাদ্রাসা স্কুল গুলির প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদেরকে কি কি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
খুব তাড়াতাড়িই যাতে মাদ্রাসা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ঢুকে যায় তার জন্য সেইসব স্কুলের বিশেষ করে যেসব মাদ্রাসা স্কুল গুলিতে ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট আছে সেখানকার প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত প্রতিটি পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস তাড়াতাড়ি রাজ্য সরকারের কাছে সাবমিট করার জন্য। তার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে হবে। যেমন –
১) তবে তার আগে সকল একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের তাদের নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস ও আধার কার্ডের জেরক্স সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে জমা দিতে হবে।
২) তারপর সেই স্কুল গুলির প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://wbvoc.gov.in এ প্রবেশ করে সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠানো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস ও আধার কার্ডের জেরক্স আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।
৩) তারপরেই প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া ১০,০০০ টাকা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে তাদেরকে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস আগামী ৫ ই নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে জমা দিতে হবে কারণ ৫ ই নভেম্বর ২০২৪ ই হল এই ডকুমেন্টস সাবমিট করার শেষ দিন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন… Read More
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের উদ্দেশ্যে দুর্দান্ত খুশির খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এবারের কৃষক বন্ধু… Read More
মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় ডাক বিভাগে গ্ৰুপ সি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে | Post Office Group… Read More
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার শূন্যপদে গ্ৰুপ ডি কর্মী… Read More
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হল, কবে থেকে পাবেন জেনে নিন।… Read More
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে আবারো নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল, বিস্তারিত জেনে… Read More