মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন বারংবার। তার মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলা এবং দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় সাহায্য করা। তার উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু ইত্যাদি। এর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় প্রথমে রাজ্যের মা বোনেরা মাসিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে পেতেন। পরবর্তীকালে এই অনুদান বাড়িয়ে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা করা হয়।
বর্তমানে দেশজুড়ে চরম খ্যাতি অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। তবে আজকের প্রতিবেদনের মূল বিষয় কিন্তু লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নয়। আজকের প্রতিবেদনে আমরা কথা বলব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্য একটি প্রকল্পের বিষয়ে। এই প্রকল্পের নাম তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় কি সুবিধা পাওয়া যায়? কারা কারা আবেদনের যোগ্য? আবেদনের জন্য কি কি নথির প্রয়োজন? সমস্ত বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
এই প্রকল্পের সুবিধা
সবথেকে প্রথমে জানানো যাক এই প্রকল্পের সুবিধার বিষয়ে। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কেন দেওয়া হবে সেটাও জানাবো। বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে চলছে অনলাইন ক্লাস। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজন মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্যের দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যার কারণে এইসমস্ত জিনিস কিনতে পারেন না। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ১০০০০ টাকা করে প্রদান করেন মোবাইল অথবা ট্যাবলেট কেনার জন্য।
কারা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য?
এবারে জানানো যাক কারা কারা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলি নিচে আলোচনা করা হল।
আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই দশম শ্রেনী পাশ হতে হবে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই একাদশ অথবা দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তে হবে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের স্বীকৃত কোনো বিদ্যালয়ে পড়তে হবে।
আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ২ লাখের কম হতে হবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ কিছু নথির প্রয়োজন। নিচে বিস্তারিত ভাবে জানানো হল।
মাধ্যমিকের মার্কশিটের কপি
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার নথি
মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
মোবাইল অথবা ট্যাবলেট কেনার রশিদ
রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যবাসীদের জন্য একের পর এক নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নিয়ে এসেছেন ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকারও কেন্দ্রবাসীদের জন্য বিশাল বড় প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। নতুন এই প্রকল্পে ১৬ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সকলেই সুবিধা পেয়ে যাবেন। এখানে সকলেই অর্থাৎ নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলকেই প্রতি মাসে মাসে প্রচুর সুবিধা পেয়ে যাবেন। বিশেষ এই প্রকল্পে আবেদন জানালে একটা সময় পরে পেয়ে যাবেন ৩০০০ করে টাকা মাসে মাসে। তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে হলে কি করতে হবে? কারা কারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পাবেন? কিভাবে আপনারা এই প্রকল্পের আবেদন জানাবেন সেটি ভালো ভাবে সম্পূর্ণ জানতে হলে খবরটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। সমস্ত কিছু বিস্তারিত তথ্য নিচে আলোচনা করা রয়েছে।
কেন্দ্র সরকার দীর্ঘদিন আগেই নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রের সাধারণ জনগণদের জন্য। এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি রাজ্যের মানুষজন। বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের জন্য চালু করেছেন কেন্দ্র সরকার নতুন প্রকল্প। কেন্দ্র সরকারের নতুন এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১০০০- ৩০০০ করে টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আবারো নতুন আবেদন চলছে তাই যারা ইচ্ছুক আবেদন জানাতে পারেন। এখানে ছোট-বড় নারী পুরুষ সকলেই আবেদন জানালে এবং উপযুক্ত হলে টাকা পেয়ে যাবেন। যাদের বয়স ১৬ বছর থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে তারা সকলেই এখানে আবেদন জানাতে পারেন। যে কোনো ভারতীয় নাগরিক হলেই এখানে আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন তবে এখানে আবেদন জানাতে হলে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই । শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিক হলেই এখানে আবেদন জানাতে পারবেন আপনিও। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন ৪০ কোটি নাগরিকায় সুবিধা পাবেন এবং অনেকেই এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়েছেন এবং প্রচুর নাগরিক এখনো এই প্রকল্পে আবেদন জানাননি। ইতিমধ্যে ২০ কোটি জনগণ এই প্রকল্পের আবেদন জানিয়েছেন আরও ২০ কোটি জনগণ এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।পশ্চিমবঙ্গের সকল বাসিন্দারাও এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের ব্যাপারে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে পরবর্তীকালে আপনি পস্তাবেন। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প সম্বন্ধে জেনে নিন।
কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রের সাধারণ মানুষজন বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ, ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য চালু করেছেন একটি নতুন কার্ড। কেন্দ্র সরকার নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এবং দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য চালু করেছেন ই শ্রম কার্ড, এই কার্ড থাকলেই আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পে আবেদন করলে একটা সময় মাসে মাসে পাবেন তিন হাজার করে টাকা। এই প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি জনগণ আবেদন জানিয়েছেন এবং যার মধ্যে ২ কোটি জনগণ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন এবং তবে এখানে ৪০ কোটি জনগণ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন এমনটাই জানানো হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে তাই ভেবে দেখুন সকলেই এখানে আবেদন জানালে এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন আপনিও। আপনি যদি এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে চান তাহলে আজই ই শ্রম কার্ড বানিয়ে ফেলুন। ই শ্রম কার্ড বানালেই আপনি একটা সময় গিয়ে মাসে মাসে এই প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন এছাড়াও একটা সময় পরে পেয়ে যাবেন মাসিক ৩০০০ টাকা।
Esharm Card এর গুরুত্ব
ভারতবর্ষে এই কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। আধার কার্ডের যেমন ভারতবর্ষের গুরুত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি এই কার্ডেরও গুরুত্ব রয়েছে। আধার কার্ড যেমন ভারতবর্ষের একটি পরিচয় পত্র ঠিক তেমনি ই শ্রম কার্ড হলো ভারতের অসংগঠিত ক্ষেত্রে একটি কর্মের পরিচয় পত্র, এই কার্ড থাকলে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও এই কাজ থাকলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজে সুযোগ সুবিধাও পেয়ে যাবেন খুব সহজে। Esharm Card কার্ড ছাড়া কিছুদিন পর কেন্দ্র সরকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কাজ পাওয়া যাবে না এমনটাও জানানো হয়েছে। কাজ করতে হলে অবশ্যই ই শ্রম কার্ডের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পে আবেদন করলে কাজের সুবিধা পাবেন এবং একটা সময় পর প্রতি মাসে মাসে 3000 করে টাকা পাওয়া যাবে। কেন্দ্র সরকারি সুবিধা পেতে গেলে আপনাকে এই কার্ড বানাতেই হবে।
কারা কারা এই Esharm Card এর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন:
1. ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
2. বয়স হতে হবে ১৬ বছর থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত ।
3. শিক্ষাগত কোনো যোগ্যতা প্রয়োজন নেই, সকলেই আবেদনযোগ্য।
4. পুরুষ মহিলা সকলেই আবেদন করতে পারবেন।
5. যে সমস্ত কর্মীরা ভবিষ্যৎ নীধি (EPF) ও ESI এর সুবিধা উপভোগ করছেন তাঁরা এই কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
আবেদন পদ্ধতি:
এখানে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে। অনলাইনে আবেদন জানানোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো- http://www.eshram.gov.in/
এখানে আবেদন জানানোর জন্য প্রথমেই আবেদনকারীকে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে নিতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে গেলে পরবর্তীকালে লগইন করে মূল ফর্মটা ফিলাপ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় যে সমস্ত ডকুমেন্টস দরকার সেগুলো ঠিকঠাকভাবে আপলোড করতে হবে। তাই আবেদন জানানোর সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টগুলোর সঙ্গে রাখতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে এখানে আবেদন জানাতে হবে তাই যারা অনলাইনের কাজ জানেন তারা নিজেরাই এখানে আবেদন করতে পারবেন।
ই-শ্রম কার্ড আবেদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন:
১. আবেদনকারীর আধার কার্ড প্রয়োজন
২. আবেদনকারীর একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে
৩. এখানে আবেদন জানাতে হলে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে না থাকলে বানিয়ে নিতে হবে।
ই-শ্রম কার্ড বানালে কি কি সুবিধা পেয়ে যাবেন:
১.এই কার্ড বানানোর থাকলে যার নামে এই কার্ড বানানো থাকবে সে যদি কর্মরত অবস্থায় কোন এক্সিডেন্ট হয় এবং সে যদি পঙ্গু হয়ে যায় তাহলে তার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
২. এই কার্ড বানানো থাকলে সেই ব্যক্তি যদি কখনো হঠাৎ করে মারা যান তাহলে তার পরিবারকে দু লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
৩. এই কার্ড থাকলে ৩০০০ টাকা করে পাওয়া যাবে মাসে মাসে তবে এই টাকা পেতে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে। যাদের বয়স ৬০ বছর বা ৬০ বছরের বেশি তাদের এই কার্ড থাকলে প্রতি মাসে মাসে তিন হাজার টাকা পেনশন পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও এই কার্ড সম্বন্ধে ও এই কার্ডের সুবিধা ও অন্যান্য গুরুত্বের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাদের অবশ্যই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিতে হবে। নিত্যনতুন এই ধরনের চাকরির আপডেট ও প্রকল্পের আপডেট পেতে হলে অবশ্যই আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অথবা টেলিগ্রাম চ্যানেল ফলো করতে পারেন।
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার শূন্যপদে গ্ৰুপ ডি কর্মী… Read More
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হল, কবে থেকে পাবেন জেনে নিন।… Read More
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অধীনে আবারো নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল, বিস্তারিত জেনে… Read More
রাজ্য সরকারের এই ভাতার পরিমাণ ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৮০০ টাকা করা হল, কবে থেকে… Read More
২০২০ সালে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এক বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল।… Read More
ভারতবর্ষে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিরাট বড় খুশির খবর। এতদিন… Read More