আপনি কি পশ্চিমবঙ্গের একজন বাসিন্দা এবং আপনার বয়সকে ১৮ বছর থেকে বেশি তাহলে আপনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে রয়েছে বিশাল বড় একটি সুখবর। রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীদের জন্য নিয়ে এসেছেন বিশাল বড় একটি সুখবর যেখানে ১৮ থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তিরা নতুন এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে ১০,০০০ পর্যন্ত টাকা পেয়ে যেতে পারেন। এখানে নারী পুরুষ কোন ভেদাভেদ করা হয়নি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে টাকা পেতে পারেন। ইতিমধ্যেই অনেকে নতুন এই প্রকল্পের আবেদন জানিয়ে টাকা পেয়ে গিয়েছেন এবং আরো প্রচুর ব্যক্তিরা নতুন করে এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে টাকা পেয়ে যেতে পারেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এখানে দরিদ্র মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণীর মানুষেরাই আবেদন জানাতে পারবেন। কি করে আপনারা এই প্রকল্পে আবেদন জানাবেন কি বা এই প্রকল্প এবং কিভাবে আপনারা এই টাকা পাবেন সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের উপকারের কথা চিন্তাভাবনা করে সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের জন্য বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষদের তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গুলি হল লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, ঐক্য শ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, তরুনের স্বপ্ন, বৃদ্ধ ভাতা, বেকার ভাতা, কৃষক বন্ধু এছাড়াও আরো অন্যান্য জনপ্রিয় প্রকল্প। এখানে কৃষক দরিদ্র থেকে শুরু করে সর্ব শ্রেণীর মানুষজন এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়ে টাকা পাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে। এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে নতুন একটি প্রকল্পর কথা বলা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে যেখানে রাজ্যবাসীদের দেওয়া হবে ১০,০০০ করে টাকা। রাজ্য সরকারের সবথেকে বড় প্রকল্প হচ্ছে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প যেখানে প্রতি মাসে ১০০০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পটিও ঠিক তেমনি একটি প্রকল্প যেখানে কিস্তির মাধ্যমে সর্বমোট ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে ।
ভারতবর্ষের অধিকাংশ হলো কৃষি নির্ভর জমি এবং ভারতের ৭০% মানুষজন কৃষি নির্ভর। কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ বিশেষ প্রকল্প নিয়ে এসেছেন যার ফলে উপকৃত হচ্ছে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ থেকে শুরু করে কৃষক শ্রেণীর সমস্ত ধরনের মানুষ। কেন্দ্র সরকার যেমন কেন্দ্রে বাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা নিয়ে এসেছেন রাজ্য সরকারও ঠিক একই রকম রাজ্যবাসীদের জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছেন যার ফলে ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছে রাজ্যের সাধারণ জনসাধারণ যথা কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তাভাবনা করে রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্প। তবে নতুন করে এখানে যে প্রকল্পে টাকা দেওয়া হবে সেখানে ধনী-দরিদ্র দেখা হয়নি, প্রত্যেককেই ৪-১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়ার নতুন এই প্রকল্প জনসাধারণের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। এখানে নারী-পুরুষ দেখা হয়নি, সর্বসম্মুখে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের নতুন একটি প্রকল্পর কথা বলা হয়েছে যেখানে আবেদন করলে এবং উপযুক্ত হলে বছরে দেওয়া হবে ১০ হাজার করে টাকা। তবে এখানে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে এবং সমস্ত শর্ত উপযুক্ত হলে আপনি ৪০০০-১০০০০ পর্যন্ত টাকা পেয়ে যাবেন। এই প্রকল্পে আবেদন জানালে কিস্তির মাধ্যমে মাসে মাসে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকবে। যার মাধ্যমে সকলেই পাবেন ১০ হাজার টাকা। এই দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি কোনো দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ তথা, কৃষক বন্ধুর যদি কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে তাহলে তার পরিবারকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক বীমা। এই প্রকল্পে রাজ্য বাসিরা ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
আবেদন পদ্ধতি:-
এখানে যারা যারা আবেদন জানাবেন তাদের সরাসরি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে। এখানে আবেদন জানাতে হলে প্রথমে এই গ্রাম পঞ্চায়েত অথবা ভিডিও অফিস থেকে আবেদনের ফরম সংগ্রহ করে সেটি নির্ভুলভাবে ফিলাপ করে এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত ডকুমেন্টস দরকার সেগুলো আবেদন পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে ভিডিও অফিস অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েই আবার জমা দিতে হবে। এছাড়াও যখন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসবে সেই দুয়ারে সরকার থেকে আপনারা এই প্রকল্পের ফরম সংগ্রহ করে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর আপনার সমস্ত কিছু তথ্য যাচাই করে ভেরিফিকেশন করা হবে এবং আপনি যদি উপযুক্ত হন তাহলে আপনার ব্যাংক একাউন্টে কিস্তির মাধ্যমে টাকা ঢুকে যাবে । এছাড়াও অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://matirkatha.net/ এতে গিয়েও এই প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।
প্রকল্পের নাম: এতক্ষণ ধরে এখানে যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছিল সে প্রকল্পের নাম হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্প।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:-
এখানে আবেদন করতে হলে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি হল-
১.কৃষক যে জমি চাষ করেন সেই জমির পর্চা, পাট্টা অথবা দলিল।
২.আবেদনকারীর আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড।
৩.একটি বৈধ ব্যাংক একাউন্ট, এই ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড ও মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে।
৪.পঞ্চায়েত প্রধানের ওয়ারিশ সার্টিফিকেট।
৫. জমির কাগজ
আরও খবর পড়ুন: CLICK HERE
নিত্যনতুন এই ধরনের প্রকল্পের আপডেট সবার প্রথমে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া হয় তাই আপনারা সকলেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের যুক্ত হতে পারেন।
Join Telegram Channel : CLICK HERE
Hello, my name is Sujit Roy. I have been working on various jobs and informative content writing for three years. Through my experimental content writing experience, I provide valuable content on this website.