পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিশাল বড় একটি রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিল যেখানে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি হারালেন। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এই দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের তরফ থেকে বিরাট রায় দিয়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করা হয়েছিল এবং অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় বহাল রাখল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ এবং বৈধ অবৈধ এখানে পৃথক করা যায়নি তাই সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করা হবে। ফলে প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গেল। ফলে দুঃখের ছায়া নেমে এলো সমগ্র রাজ্যজুড়ে।
নিয়োগ দুর্নীতি: কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
SSC তরফ থেকে ২০১৬ সালে SLST নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির লক্ষ্য করা যায়। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি। গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য করা সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল এবং প্রচুর অসাধু উপায়ে এখানে চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছিল। ফলে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট এবার সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখল।
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে যে সোনানি হয়েছিল এবং যেখানে বলা হয়েছিল চাল থেকে কাকর যেমন আলাদা করা সম্ভব নয় ঠিক তেমনি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, অর্থাৎ যারা মনে করেন তারা সম্পূর্ণভাবে বৈধ তাঁরা নতুন করে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় কী রয়েছে?
• অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের পুরো বেতন সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে।
• সিবিআই এই মামলার তদন্ত আরো চালিয়ে যেতে পারবে।
• যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা অন্য দপ্তর ছেড়ে SSC চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তারা আবার অন্য দপ্তরে যোগ দিতে পারবেন, তবে এর জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে তিন মাস।
• সম্পূর্ণ শূন্য পদ গুলোতে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করতে হবে।
• সব মিলিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকলে সুপ্রিম কোর্টে।
রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরি হারানো কিছু প্রার্থী, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না হাইকোর্টের তরফ থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেই রায়ই বহাল থাকলো। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ফাইনাল শুনানি শেষ হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায় ঘোষণা করে। এই রায়ের ফলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এই রায় দেওয়ার ফলে রাজ্য সরকার মোটেও খুশি নয়, এখন দেখার বিষয় রাজ্য সরকার পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেবে।
চলতি বছরে দেশে জুড়ে তীব্র গরমের কারণে অস্বস্তিকর অবস্থায় দেশের একাধিক রাজ্যে নেওয়া হয়েছে বড়সড়…
যারা যারা স্নাতক পাস করে রয়েছেন সেই সমস্ত যুবক-যুবতীদের জন্য এল দারুণ সুখবর! ভারতের বৃহত্তম…
কলকাতা: ৩২ হাজার প্রাইমারি চাকরি নিয়ে ফের ধোঁয়াশা। অবশেষে ৩২ হাজার চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা…
রাজ্যের সমস্ত বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য বিশাল বড় সুখবর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে…
ভারতের ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ ও বিদ্যুৎ খরচের চাপকে মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার চালু করেছে Pradhanmantri AC…
আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছি ভারতের কিছু অজানা তথ্য বা ভারতের কিছু সাধারণ…